• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন
  • [কনভাটার]
শিরোনামঃ
সিরাজগঞ্জে পুলিশ ও কোটা সংস্কারকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, পুলিশ সহ আহত ১০, আটক ৮। সিরাজগঞ্জে নেশাজাতীয় বুপ্রেনরফিন ইনজেকশনসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। আসামী ধরতে নদীতে লাফ, প্রাণ গেলো পুলিশ কর্মকর্তার। র‍্যাব-১২ এর অভিযানে ৬৬২ বোতল ফেনসিডিল ও ১২ কেজি গাঁজাসহ ৫ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। সিরাজগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে হত্যা ও ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার। সিরাজগঞ্জে ৩,৪৭০ পিস নেশাজাতীয় বুপ্রেনরফিন ইনজেকশনসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। সিরাজগঞ্জে গাছের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা, হেলপার নিহত সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার। সিরাজগঞ্জে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সিরাজগঞ্জে আওয়ামীলীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি অংশে ভালো নম্বর পেতে হলে

Reporter Name / ৪১ Time View
Update : শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

এসএসসি পরীক্ষা পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে হবে। তোমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছ। পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি অংশে সঠিক প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। সৃজনশীল প্রশ্ন সঠিকভাবে লেখার চারটি ধাপ নিয়ে কথা বলবো। সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি একটি বিশেষ ধরনের পরীক্ষাপদ্ধতি, তাই এর উত্তর লিখন-কৌশলও বিশেষ ধরনের। যেমন—

সৃজনশীল পদ্ধতিতে যেকোনো গল্প বা কবিতার একটি ভাব বা themeএর আলোকে একটি মৌলিক উদ্দীপক এবং সংশ্লিষ্ট চার দক্ষতার চারটি প্রশ্ন থাকে। এই চারটি অংশ বা প্রশ্ন (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা) মিলে কিন্তু একটি পূর্ণাঙ্গ প্রশ্ন। যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করলে তার চারটি অংশের উত্তরই ধারাবাহিকভাবে করবে।

জ্ঞানমূলক

জ্ঞানমূলক প্রশ্নের নম্বর থাকবে ১। এর উত্তর একটি শব্দে, একাধিক শব্দে বা একটি বাক্যেও দেওয়া যাবে। তবে এ স্তরের উত্তর একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্যে দিলে ভালো। আর এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, জ্ঞানমূলক প্রশ্নে যে তথ্যটা জানতে চাওয়া হয়েছে, সেটার বানান ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে।

অনুধাবনমূলক

অনুধাবনমূলক প্রশ্নের নম্বর থাকবে ২। এর মধ্যে ১ নম্বর জ্ঞানের জন্য আর ১ নম্বর অনুধাবনের জন্য। অনুধাবনমূলক দক্ষতা মানে—বইয়ের কোনো কথা বা বাক্যের দ্বারা কবি বা লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন, সেটা বুঝতে পারা। সে ক্ষেত্রে প্রথম প্যারায় জ্ঞান অংশের উত্তরে বাক্যটির দ্বারা লেখক কী বুঝিয়েছেন, সেই কথা আগে লিখে দ্বিতীয় প্যারায় অনুধাবনমূলক অংশে উক্ত জ্ঞানটি বইয়ের আলোকে নিজের ভাষায় বুঝিয়ে দিতে হবে।

জ্ঞান অংশের উত্তর আগে লিখে অনুধাবন অংশের উত্তর পরে লেখাই উত্তম। অনুধাবনমূলক প্রশ্নের শুরুতে অযথা কবি বা সাহিত্যিককে নানা বিশ্লেষণে বিশেষায়িত করার দরকার নেই। মনে রাখতে হবে, সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর হবে ‘জিরো ফ্যাট’, অর্থাৎ চর্বিশূন্য। শুধু অনুধাবনেই নয়, কোনোক্রমে কোনো প্রশ্নের উত্তরেই অপ্রাসঙ্গিক কথা, অপ্রয়োজনীয় তথ্য বা বাহুল্যদোষ করা যাবে না।

প্রয়োগমূলক

প্রয়োগমূলক প্রশ্নের নম্বর থাকবে ৩। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে এবং ১ নম্বর প্রয়োগে। প্রয়োগমূলক দক্ষতা মানে— তোমার পাঠ্যবই থেকে যা জেনেছ, যা বুঝেছ, তা নতুন ক্ষেত্রে, অর্থাৎ উদ্দীপকে প্রয়োগ করবে। কাজেই উদ্দীপকের ভাব বা বক্তব্য পাঠ্যবইয়ের যে ভাব বা দিকের সঙ্গে সাদৃশ্য বা বৈসাদৃশ্যপূর্ণ, সেটাই প্রয়োগমূলক প্রশ্নের জ্ঞান।

প্রথম প্যারায় এক বাক্যে জ্ঞানটি লিখে তারপর ওই ভাবটি পাঠ্যবইয়ে কীভাবে ফুটে উঠেছে, তা দ্বিতীয় প্যারায় ব্যাখ্যা করতে পারো। শেষে ওই দিকটি উদ্দীপকে কীভাবে ফুটে উঠেছে, তা তৃতীয় প্যারায় ব্যাখ্যা করে উত্তর শেষ করতে পারো। তুমি এক/দুই/িতন প্যারাতেও লিখতে পারো। উদ্দীপক পড়ে বুঝে ব্যাখ্যা করতে হবে।

উচ্চতর দক্ষতা

উচ্চতর দক্ষতা প্রশ্নের নম্বর থাকবে ৩। উচ্চতর দক্ষতা মানেই একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার। প্রশ্নেই সাধারণত একটা অনুসিদ্ধান্ত দেওয়া থাকে। যদি সিদ্ধান্তটি সঠিক হয়, তাহলে সেটাকেই ব্যাখ্যা–বিশ্লেষণ করে, উদ্দীপকে প্রয়োগ করে প্রমাণ করতে হবে যে সিদ্ধান্তটি সঠিক।

আর যদি সিদ্ধান্তটি ভুল হয়, তাহলে কেন ভুল, সেটাও যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে। অনেক সময় সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য হতে পারে। সে ক্ষেত্রে উদ্দীপকের সঙ্গে পাঠ্যবইয়ের যে অংশটুকুর মিল আছে, তা বর্ণনা করে যে যে ক্ষেত্রে মিল নেই, সেগুলোও বর্ণনা করতে হবে এবং সর্বশেষ সিদ্ধান্ত দিতে হবে যে বক্তব্যটি বা সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য, পুরোপুরি নয়। বিচার-বিশ্লেষণ-সংশ্লেষণ, মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত দেওয়ার নামই উচ্চতর দক্ষতা।

এ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটি ভালোভাবে পড়ে পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে বুঝতে হবে। উচ্চতর দক্ষতার উত্তরে প্রথম প্যারায় জ্ঞান অংশে সিদ্ধান্তটি সঠিক না ভুল, সেটা কারণসহ উল্লেখ করতে পারো। দ্বিতীয় প্যারায় অনুধাবন স্তরে পাঠ্যবইয়ের অন্য দিকগুলো ব্যাখ্যা করে তৃতীয় প্যারায় উদ্দীপকের কথা এবং শেষে পাঠ্যবই ও মিলিয়ে তুলনামূলক আলোচনা করে প্রমাণ করবে সিদ্ধান্তটি যথার্থ কি যথার্থ না।

বহুনির্বাচনি অংশ

পরীক্ষায় ৩০টি করে বহুনির্বাচনি (বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, গণিত, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় উদে৵াগ, ফিন্যান্স, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ভূগোল, পৌরনীতি, অর্থনীতি) এবং ২৫টি করে বহুনির্বাচনি (পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত, গার্হস্থ্যবিজ্ঞান, কৃষিশিক্ষা) প্রশ্ন থাকবে।

যেকোনো ১৫টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। সঠিক উত্তরের বৃত্ত কালো কালির বলপয়েন্ট কলম দিয়ে ভরাট করবে। মনে রেখো, একটি উত্তর সঠিক হলে ২ নম্বর পাবে। ভুল হলে ২ নম্বর কাটা যাবে। কাজেই বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর করার সময় খুবই সাবধান থাকবে। বহুনির্বাচনির উত্তরপত্রে কোনো কাটাকাটি বা ঘষামাজা করা যাবে না। একটি বৃত্ত ভরাট করে কেটে আবার আরেকটি বৃত্ত ভরাট করা যাবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category