হুমায়ূন আহমেদের ‘আজ রবিবার’ ধারাবাহিক নাটকে আনিসের (জাহিদ হাসান) সাইকোলজিক্যাল প্রোফাইল করেছিল বড় চাচা (আলী যাকের)। দৃশ্যটা মনে আছে? বড় চাচা আনিসকে একেকটি ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করছেন, বলো তো এখানে কী? আর আনিসের সেই বিখ্যাত জবাব, ‘এখানে তো কিছু নেই। শুধু হিজিবিজি।’ এরপর—‘এইটা আরও বেশি হিজিবিজি।’ সবশেষে—‘হিজিবিজি হিজিবিজি!’
আজ ৩ সেপ্টেম্বর, ডুডল দিবস। শিল্প-সাহিত্য, খেলাধুলা কিংবা বিনোদন জগতের বিখ্যাত ব্যক্তিদের সৃষ্টিকর্ম বেচাবিক্রির লক্ষ্যে সেসবের ডুডল অনলাইন নিলামে তুলতে উৎসাহ তৈরির জন্য দিবসটির উদ্ভাবন।
এই যে হিজিবিজি আঁকিবুঁকি, জীবনের কখনো না কখনো আমরা সবাই করেছি বা করি। হাতে পেনসিল বা কলম এবং কাছে সাদা পৃষ্ঠা পেলে আনমনে কত অর্থহীন দাগাদাগি করি। আসলেই কি এসব অর্থহীন? অবচেতন মনের এসব আঁকিবুঁকিরও একটা অর্থ নিশ্চয়ই আছে। মানবমনের অতলে কত বিচিত্র ভাবনা বাস করে! ভাবনার সাঁকো পেরিয়ে প্রকাশিতও হয় অদ্ভুত সব পথে। মাঝেমধ্যে আর্ট গ্যালারি বা শিল্প প্রদর্শনীতে ‘বিমূর্ত ছবি’ দেখে নিষ্পলক তাকিয়ে থেকেছি কত! অর্থোদ্ধারের চেষ্টা করেছি। কখনো অর্থপূর্ণ হয়ে ধরা দিয়েছে চোখে, কখনো বিমূর্তই থেকে গেছে।
এই হিজিবিজি আঁকিবুঁকিকেই বলে ‘ডুডল’। আজকাল অবশ্য গুগলের কল্যাণে ‘ডুডল’ ব্যাপারটি সবার কাছেই মোটামুটি পরিচিত। বিশেষ কোনো দিন, ঘটনা, বিখ্যাত ব্যক্তিদের জন্ম-মৃত্যু দিবস প্রভৃতি উপলক্ষে গুগল শিল্পসম্মত ডুডল প্রকাশ করে থাকে। ১৯৯৮ সালে বার্নিং ম্যান ফেস্টিভ্যালের দিন গুগলে প্রথম যুক্ত হয় ডুডল। তবে এই ডুডলের ধারণা কিন্তু অত্যন্ত প্রাচীন। প্রাগৈতিহাসিক যুগের বহু গুহাচিত্রে এমন বিমূর্ত আঁকাআঁকির সন্ধান পাওয়া যায়।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর, ডুডল দিবস। শিল্প-সাহিত্য, খেলাধুলা কিংবা বিনোদন জগতের বিখ্যাত ব্যক্তিদের সৃষ্টিকর্ম বেচাবিক্রির লক্ষ্যে সেসবের ডুডল অনলাইন নিলামে তুলতে উৎসাহ তৈরির জন্য দিবসটির উদ্ভাবন। এসব নিলাম থেকে প্রাপ্ত অর্থ মৃগীরোগীদের চিকিৎসাসহায়তা এবং এই রোগ বিষয়ে গবেষণার কাজে ব্যবহারের জন্য ব্যয় করা হয়।
ন্যাশনাল ডে ক্যালেন্ডার অবলম্বনে