সম্প্রতি প্রযুক্তি-বিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অ্যাপল তাদের আইফোন ১৪ মডেলে কৃত্রিম উপগ্রহ-সংযোগের সুবিধা ইতিমধ্যে যুক্ত করেছে। ফোনটি উৎপাদনের পর্যায়ে যাওয়ার আগেই কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এর হার্ডওয়্যার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে অ্যাপল পণ্যবিশ্লেষক মিং-সি কুয়ো অবশ্য আইফোন ১৪ মডেলে কৃত্রিম উপগ্রহ-সংযোগ থাকার বিষয়ে নিশ্চিত নন। তাঁর মতে, এ ধরনের ফিচার যুক্ত করতে হলে কৃত্রিম উপগ্রহ পরিচালক প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে অ্যাপলকে চুক্তি করতে হবে। এ ফিচার যদি যুক্ত করা হয়, আইফোন ১৪-এর স্যাটেলাইট-সংযোগ ব্যবহার করে কেবল জরুরি বার্তা পাঠানো ও ফোনকল করা যাবে।
এদিকে অ্যান্ড্রয়েড এ সুবিধা প্রসঙ্গে লকহেইমার বলেছেন, কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা সাধারণ ইন্টারনেট-সংযোগের তুলনায় আলাদা হবে। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি। শুধু বলেছেন, অ্যান্ড্রয়েড ১৪ সংস্করণে এ সুবিধা থাকবে।
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ-সংযোগ চালু করতে স্পেস এক্স ও টি-মোবাইল যৌথভাবে উদ্যোগ নিয়েছে। টি-মোবাইলের পক্ষ থেকে স্পেস এক্সের হাজারো স্টারলিংক কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাহককে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট-সুবিধা দেওয়া হবে। শুরুতে ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে টেক্সট মেসেজ বা বার্তা আদান-প্রদানের সুবিধা থাকবে। এরপর আসবে ভয়েস ও ডেটাসেবা।
স্পেস এক্সের উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক এক টুইটে বলেছেন, স্টারলিংক ভি২ আগামী বছর চালু হবে। এর লক্ষ্য হচ্ছে, বিশ্বের ইন্টারনেটবিহীন অঞ্চলগুলো সংযোগের আওতায় আনা। স্টারলিংকের সঙ্গে কাজ করার জন্য অন্য অপারেটরদের আহ্বান জানান তিনি।