পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের একটু বেশি সময় দিয়ে যত্ন নিতে হয়। কিন্তু কাজের চাপে তা অনেকেই ঠিকমতো করে উঠতে পারেন না। পরিবারে স্বামী-স্ত্রী দুজন চাকরি করলে দীর্ঘ সময় ঘরে একা থাকেন প্রবীণরা।
ফলে সময়মতো ওষুধ খাওয়া থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কাজে সমস্যা হয় তাঁদের। হঠাৎ করে শরীর খারাপ হয়ে বিপদের আশঙ্কাও থাকে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে ‘প্যারেন্টস কেয়ার’। প্রবীণদের যত্নআত্তির সেবা দিতে চালু হয়েছে এই ওয়েবসাইট।
প্রবীণদের সার্বক্ষণিক যত্ন নেওয়ার জন্য আমাদের এখানে ১৯০ জন দক্ষ নারী ও পুরুষ কর্মী রয়েছেন। এ ছাড়া ৫০ জন দক্ষ ফিজিওথেরাপিস্টের পাশাপাশি ৫০ জন নার্সও রয়েছেন।
সামস আবু সোমেন, ‘প্যারেন্টস কেয়ার’–এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
করোনাকালে ঘরে বসে চিকিৎসাসেবা দিতে দুই বছর আগে যাত্রা শুরু করে ‘প্যারেন্টস কেয়ার’। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাক্ষাতের সময় নেওয়া, ফিজিওথেরাপি সেবা, ঘরে বসে রোগ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি রোগী ও প্রবীণদের জন্য ২৪ ঘণ্টা দেখভালের সেবা চালু করে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানটি।
এসব সেবা ব্যবহারের জন্য সরাসরি কোথাও যেতে হয় না। ঠিকানার ওয়েবসাইটে গিয়ে সেবার ধরন নির্বাচন করলেই চ্যাটবটের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য জানা যায়। শুধু তা–ই নয়, প্রবীণদের দেখভালের জন্য কর্মীও বাছাই করা যায় অনলাইনে।
‘প্যারেন্টস কেয়ার’–এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামস আবু সোমেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রবীণদের সার্বক্ষণিক যত্ন নেওয়ার জন্য আমাদের এখানে ১৯০ জন দক্ষ নারী ও পুরুষ কর্মী রয়েছেন। এ ছাড়া ৫০ জন দক্ষ ফিজিওথেরাপিস্টের পাশাপাশি ৫০ জন নার্সও রয়েছেন।
তাঁরা সবাই নিজ নিজ পেশায় শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ। কর্মীদের জীবনবৃত্তান্তও সংগ্রহে থাকায় যে কেউ নিশ্চিন্তে আমাদের কাছ থেকে সেবা নিতে পারেন। দেখভালের পাশাপাশি প্রবীণদের নির্দিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে সাক্ষাৎও করিয়ে দিই আমরা। রয়েছে জরুরি মুহূর্তে অ্যাম্বুলেন্সসেবা ব্যবহারের সুযোগও।
চাইলে ১২ বা ২৪ ঘণ্টা হিসেবে আমাদের সেবা নিতে পারেন। সপ্তাহ বা পুরো মাসের জন্যও এ সেবা পাওয়া যায়।
এরই মধ্যে আমরা প্রায় ১৭ হাজার মানুষকে সেবা দিয়েছি। সেবা নেওয়ার জন্য কার্যালয়ে আসারও প্রয়োজন নেই, অনলাইনে যোগযোগ করলেই আমাদের প্রতিনিধি বিস্তারিত সব তথ্য জানিয়ে দেবে।’
বর্তমানে শুধু ঢাকায় ফিজিওথেরাপি ও প্রবীণদের দেখভালের সেবা দিয়ে থাকে ‘প্যারেন্টস কেয়ার’। শিগগিরই এ সেবা অন্যান্য জেলায় চালুর জন্য কাজ করছে এই স্টার্টআপ।