গত ৪ আগস্ট সরকার পতনের এক দফা দাবীতে সিরাজগঞ্জ সদরে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার উপর প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ করে হত্যার দায়ে ২২ আগষ্ট সিরাজগঞ্জ সদর থানায় তিনটি পৃথক হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
ওই তিন মামলার অন্যতম আসামী ও সিরাজগঞ্জ সদর-কামারখন্দ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরীর প্রধান সন্ত্রাসী, ক্যাডার আবু মুছা ওরফে কিলার মুছাকে (৪২) কক্সবাজারের কলাতলী বিচ এলাকা থেকে শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে র্যাব-১২ ও র্যাব-১৫ এর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-১২ এর লেঃ কমান্ডার বিএন এম আবুল হাশেম সবুজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিরাজগঞ্জ সদর থানার মামলা নং-১৭/৫২৮, ১৮/৫২৯ ও ১৯/৫৩০ মোতাবেক সিরাজগঞ্জ সদরে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার উপর প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে গুলিবর্ষণ করে ছাত্র জনতা হত্যায় দায়ে দায়েরকৃত ৩ টি মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী আবু মুছা ওরফে কিলার মুছাকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগ সবসময় তৎপর ছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ ও র্যাব-১৫ এর একটি চৌকস দল কক্সবাজারের কলাতলী বিচ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মুছা বিগত সময়ে সাবেক এমপি হেনরীর প্রধান ক্যাডার হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সিরাজগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় অস্ত্র ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিল। এছাড়াও গত চার আগস্ট সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সিরাজগঞ্জ সদরে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার উপর প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে হামলা চালানোর কথাও স্বীকার করে, যার ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে আরও জানায় যে, বর্ণিত হত্যা মামলাগুলোর প্রেক্ষিতে গ্রেফতার এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে এতোদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায়। এরই অংশ হিসেবে সে কক্সবাজারে আত্মগোপনে থেকে সুযোগ বুঝে দেশের সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মুছা সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের দত্তবাড়ি এলাকার মৃত ছানোয়ার হোসেন ছানুর ছেলে।