২১ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বিকেল ৫ টায় সিরাজগঞ্জের দারুল ইসলাম একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রোকন সম্মেলন ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. শফিকুর রহমান বলেন, ‘জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে জামায়াতের শীর্ষ ১১ নেতাকে জেলে রেখে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছেন। অনেক নাটক সাজিয়েছিলেন, শুধুমাত্র তাঁদের পক্ষ থেকে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করানোর জন্য, কিন্তু তাঁরা তা করেননি।
আমরা ঘোষণা দিয়েছি কারো ওপর প্রতিশোধ নেব না। প্রতিশোধ নেওয়া মানে হচ্ছে আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়া। এটি যেখানেই করা হয়েছে সেখানেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। প্রতিশোধ প্রতিহিংসার জন্ম দেয়, যুগ যুগ ধরে এটা চলতে থাকে। আমরা এ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই এই নোংরা রাজনীতির পরিসমাপ্তি হোক। তবে ন্যায় প্রতিষ্ঠার দাবি হচ্ছে, যে যেই অপরাধ করেছেন নির্দিষ্ট অপরাধের জন্য তাকে শাস্তি পেতে হবে এবং সেটি হবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশের কোন সাংবাদিক স্বাধীন ছিল না। এখন আপনারা স্বাধীন। আপনারা বিবেক দিয়ে কাজ করবেন।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও জেলা জামায়াতের আমির শাহীনুর আলমের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জামায়াত ইসলামের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন, অর্থ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, ঢাকা দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন, আবু তালেব মণ্ডল ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য প্রফেসর ড. মাওলানা আব্দুস সামাদ। এছাড়া জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।